শিল্পী আক্তার, ঢাকা
ফুটপাত নাগরিকদের হাঁটার সুবিধার্থে তৈরি হলেও রাজধানীসহ সারা দেশের ফুটপাতে মানুষের হাঁটা এখন দুঃসাধ্য এক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফুটপাত দখল এখন যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে রাজধানীবাসীর। বলতে গেলে এটা এক অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটপাতই গিলে খেয়েছে দখলবাজরা, পাশাপাশি সম্প্রতি শুরু হয়েছে রাস্তা দখল। এতে যেমন পথচারীদের হাঁটায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয় আবার গাড়ি চলাচলের গতিও কমে যায়।
প্রধান সড়কের এ হাওয়া লেগেছে মহল্লার সড়কেও। আর এতে পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও রাজনীতিবিদরা একাট্টা। প্রতিদিনই দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে নতুন নতুন সড়ক। মাঝেমাঝে দু’একটি লোক দেখানো অভিযান হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ফিরে আসে আগের অবস্থায়। বড় কারণ প্রভাবশালীদের প্রভাব। কেননা, তারাই টাকার বিনিময়ে ফুটপাতে হকার বসার সুযোগ করে দেন। মহাখালী ব্রাক ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন সড়ক যেন এর জ্বলন্ত উদাহরণ।
এদিকে মহাখালী কমিউনিটি সেন্টার থেকে টি.বি গেইট পানির টাংকি পর্যন্ত। অন্যদিকে গাউসুল আজম মসজিদ থেকে ওয়্যারলেস গেইট পর্যন্ত ফুটপাত চা দোকান, খাবারের দোকানের দখলে। আর রাস্তা দখল গাড়ি পার্কিংয়ে। মানুষ হাঁটার যায়গা নেই। আরেকদিকে দখলে রয়েছে মহাখালী টি.বি হাসপাতাল রোড ও আমতলীতে বন ভবনের বিপরীত পাশে পারমাণবিক শক্তি কমিশন কোয়ার্টার রোড।
এখানে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করা যেনো একটি সাধারণ ব্যাপার। ফুটপাত ভাড়া দিয়ে টাকা তোলেন স্থায়ীয় কিশোর গ্যাং ও কাউন্সিলরের লোকজন।
এছাড়া মহাখালী আমতলী গুলশান সংযোগ সড়কের ফুটপাতের উপরে বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী ও গাড়ি রাখা হয় রাস্তা দখল করে।
যারা আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন বানান, তারা নিজেরা প্রভাবশালী। তাই রাস্তা-ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে তাদের কারো কাছে জিজ্ঞাস করতে হয় না। বরং কেউ কিছু বলতে গেলে নিজেরাই বিপদে পরেন। তারা এতোটাই প্রভাবশালী যে নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা বেষ্টনীও ব্যবহার করেন না।
মহাখালীতে সড়ক ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তা দখল না হয় সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।