সোহরাব হোসেন, দক্ষিণখান, ঢাকা
বুধবার দেখলাম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এর বাউন্ডারি টিনে ও আশেপাশের এলাকার ফ্লাইওভার/ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দেয়ালে এবং পিলারে তার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। তিনি ঢাকা-১৮ আসনের এমপি হতে চান। পোষ্টারে লেখা, ঢাকা-১৮ আসনের জনগণ তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
এভাবে এখন তার পোষ্টার লাগানোর উদ্দেশ্য আগামী ৭ অক্টোবর, টার্মিনাল-৩ উদ্বোধন করতে আসা প্রধানমন্ত্রী ও বড় বড় নেতাদের নজরে পড়া।
কিন্তু তার জন্য দুঃখের সংবাদ হলো- একদিকে তার কর্মীরা পোষ্টার লাগিয়ে সব দেয়াল ঢেকে ফেলেছেন আরেকদিকে সেই পোষ্টার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ঘষে তুলে ফেলছেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সাথে সাথে বিমানবন্দরের কনস্ট্রাকশনে কাজ করা কর্মীরাও পোষ্টার তোলার কাজ করছেন। কারণ উদ্বোধন আর দুদিন পরেই। সব কিছু সুন্দর ঝকঝকে থাকতে হবে। দেশের অনেক বড় নেতারা টার্মিনাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসবেন। যার পোষ্টার এভাবে পোষ্টার লাগিয়ে তিনি বিবেকহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এধরনের মনমানসিকতার জন্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
এই পোষ্টার দেখে প্রধানমন্ত্রী কি খুশি হতেন? অবশ্যই হতেন না। কারণ নতুন বাউন্ডারি ও দেয়ালে যেভাবে পোষ্টার লাগানো হয়েছে তা দেখে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার কাছেই ভালো লাগেনি। আর প্রধানমন্ত্রী তো প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ার আরও অনেক উপায় আছে। এভাবে দেশের সৌন্দর্য নষ্ট করে নয়।
তিনি বলতে পারেন তিনি নিজে পোষ্টার লাগান নি। দোষ চাপাতে পারেন যারা লাগিয়েছে তাদের উপর। কিন্তু যাদের তিনি পোষ্টার লাগানোর দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের নিশ্চই দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছিলেন কোথায় কোথায় পোষ্টার লাগাতে হবে। পোষ্টারে লেখা রয়েছে, প্রচারে ঢাকা-১৮ আসনের সর্বস্তরের জনগণ। এখন তিনি জনগণের ওপরেও দোষ চাপাতে পারেন।
